অ্যাকটিভেটিং ভিলেজ কোটস ইন বাংলা দেশ
মাদারী পুর লিগাল এইড এসোসিয়েশন কিশোরগঞ্জ।
আড়াইবাড়ীয়া- হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ।
বিষয়ঃ কেইস স্টাডি
শিরোনামঃ-গ্রাম আদালতের মাধ্যমে অসহায় শাহানা ফিরেপায় ১০০০০/-টাকা
বিরোধের সারাংশ ঃ-
কিশোরগঞ্জ জেলার ঐতিয্যবাহী উপজেলা হোসেনপুর। হোসেনপুরের একটি সু-পরিচিত ইউনিয়ন আড়াইবাড়ীয়া। আড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়নের পূর্ব দ্বিপেশ্বর গ্রামের শামসুদ্দিনের মেয়ে শাহানা আক্তার তাদের ঘরে কোন সমত্মান নেই। শাহানা আক্তার তাদের ঘরে কোন সমত্মান নেই । শাহানার পিতামাতা বৃদ্ধ হয়েগেছে এইবৃদ্ধ মাতাপিতার দেখা শুনার কাজ করেন শাহানা এবং গরিব হওয়া সত্বেও শাহানা আক্তার নিজে ও মাতা পিতাকে নিয়ে সুখে শামিত্মতে বসবাস করার জন্য ফেরী করে কিছু মালামাল যেমন- বাদাম, চানাচুর, বিস্কুট ও অন্যান্ন্য বিক্রি করে সংসার চালায় অনেক আশা নীয়ে বেঁচে আছেন শাহানা আক্তার। তাইতো বেঁচে থাকার জন্য শাহানা আক্তার কতইনা চেষ্টা করেন। নিজে বেঁচে থাকার জন্য কতইনা পরিশ্রম করতে হয় এমনকি পরের বাড়ীতে বুয়ার কাজ ও করতে হয় শাহানা আক্তারের। আশা নিয়ে বসে আছে শাহানা আক্তার যে তার জমা কৃত ১০০০০/-টাকা সেই দশহাজার টাকা দিয়ে শাহানা মূলধন বারাবে। সেই দশহাজার টাকার দিকে নজর দেয় তারই প্রতিবেশী মোঃ ওহাদ মিয়া । শাহানার আশাকে ধূলিষাৎ করে দেয়। প্রতিবাদী মোঃ ওহাদ মিয়া। হাওলাত বাবদ ১০০০০/-টাকা নিয়ে বিরোধ হয়। তাইতো শাহানা আক্তার এর সাথে ওহাদ মিয়ার ১০০০০/-টাকা নিয়ে বিরোধ।
পÿদ্বয়ের পরিচিতিঃ-
আবেদন কারী মোছাঃ শাহানা আক্তার পিতা- শামসুদ্দিন মিয়া গ্রাম পূর্ব দ্বিপেশ্বর ইউনিয়ন আড়াইবাড়ীয়া উপজেলা- হোসেনপুর , জেলা কিশোরগঞ্জ। বয়স ২৮ বছর। পারিবারিক অবস্থা শাহানা নিঃ সমত্মান । তার আয়ের উৎস ফেরি করে
কিছু মালামাল বিক্রি করে সংসার চালায়। তার হতের দশহাজার টাকাই তার সম্বল।
প্রতিবাদীঃ মোঃ ওহাদ মিয়া পিতা- হাসেন আলী মাতা- রহিমা খাতুন গ্রাম- পদুরগাতী পৌরসভা হোসেনপুর ,উপজেলা-হোসেনপুর জেলা- কিশোরগঞ্জ। বয়স ৩০বছর । পারিবারিক অবস্থা নিঃসমত্মান তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থাঃ-
শহানার পিতা থাকা কালিন পরের ঘরে কাজ করে জমা করে ছিলেন সে টাকা। শাহানার প্রতিবেশী রয়েছে । পিতা থাকা অবস্থায় তাহারা আলাদা হয়। সংসারে আয়ের কোন পথ নেই শাহানার । নিঃসমত্মান হওয়া সত্বেও শাহানার পিতা তাহাকে দেখা শুনা করেনা। তাই তো শাহানা বেঁচে থাকার জন্য ফেরি করে কিছু মালামাল বিক্রি করে সংসার চালায় । বাড়ীতে একাটা টিনের ঘর ও বাড়ীবিটের জায়গা রয়েছে। তাই শহানা বাঁচার জন্য পরের ঘরে বাবু„ৃছ করে কিছু টাকা পয়সা জমা করে প্রতিবাদী ওহাদ একজন কৃষক , নিজের জমি চাষাবাদ কওে সংসার চালায় পাশা পাশি ব্যবসা ও করে।
বিরোধের পেÿাপটঃ
আবেদন কারী শাহানা একজন দারিদ্র নিঃ সমত্মান অসহায় নারীবটে। নিজে বাচার জন্য ফেরী করার জন্য অর্থাৎ মূল ধন বাড়ানোর জন্য পরের ঘরে কাজ করে ১০০০০/-দশহাজার টাকা জমা করে। অল্প পুজি দিয়ে উপার্জন করা সম্ভব নয় । তাইতো ব্যবসার পুজি বাড়ানোর জন্য শাহানার ১০০০০/-দশহাজার টাকা ব্যবসায় মূল ধন যোগান দেয়ার জন্য সিদ্ধামত্ম নেয়। এমন সময় আঘাত আহানে শহানার প্রতিবাদী ওহাদ মিয়া ব্যবসায় মূলধন বাড়াতে বাধা প্রদান করে এবং এই ১০০০০/- দশহাজার টাকা প্রতিবাদীর বলে দাবি করে এ ব্যাপারে শাহানা গ্রামের মাতাববরের সহযোগি তা নেন তাদের কথা ওহাদ মিয়া কর্ণপাত করেনা। পরিশেষে শাহানা আক্তার অন্য কোন উপায় না পেয়ে গ্রাম আদালতের সরনাপণ্য হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় বুক বাধে। পরিশেষে শাহানা বেগম অন্য কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে তার ন্যায় । অধিকার ও দশহাজার টাকা পাওয়ার উদ্দেশ্য গ্রাম আদালতের সরনাপণ্য হয়।
গ্রাম আদালতে আগমনঃ-
সালিস বিচারের সময় শাহানা জানতে পারেন যে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের কথা এবং উঠান বৈঠকের মাধ্যমে ও সে জানতে পেরেছে।
মামলার বিবরণঃ
০১/১০/২০১২ তারিখে শাহানা আড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের কাযালয়ে আসেন । মোঃ ওহাদ মিয়া কে প্রতিবাদী করে একটি লিখিত আবেদন পত্র জমা দেন মামলার ফ্রি দুই টাকা প্রদান করেন। মামলার নং-৩৫/১২ দাখিলের তারিখ ০১/১০/২০১২ তারিখে শাহানা গ্রাম আদালতে একটি ফৌজদারী মামলা করেন। ইউপি চেয়ারম্যান খুর্শিদ উদ্দিন মামলাটি যাচাই বাছাই করেন এবং রেজিঃ ভূক্ত করে প্রতিবাদীকে সমন প্রদান করতে বলেন । ১০/১০/২০১২ তারিখ সকাল ১০টা প্রতিবাদী দের কে হাজির হবার জন্য সমন প্রদান করেন গ্রাম পুলিশ মজিবুর রহমান।
আদালতের বিচার প্রক্রিয়া / পদ্ধতিঃ
১০/১০/১২ তারিখ সকাল ১০টায় আবেদন কারী ও প্রতিবাদী আড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদে হাজির । ইউনিয়ন পরিষদের হাজির সীটে হাজিরা গ্রহন করেন কোট সহকারী মোঃ কাবিরম্নল ইসলাম ১০/ ১০/ ২০১২ তারিখে আবেদন কারী ও প্রতিবাদী কে মনোনয়নের নির্দেশ দেন। আগামী ১৭/১০/২০১২ ইং তারিখের মধ্যে নির্দেশ দেন ইউপি চেয়ারম্যান। উক্ত ১৭/১০/২০১২তারিখ অনুযায়ী আবেদন কারী তার পÿÿ অত্র ইউরিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার জনাব মোঃ কফিল উদ্দিন এবং গন্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে ধনকুড়া গ্রামের মোছাঃ রীনা আক্তার কে প্রতিবাদী ও ২নং ওয়ার্ডেও মেম্বার মোঃ ফরিদ উদ্দিন গন্য মন্য ব্যক্তি মোঃ চাঁন মিয়া কে আবেদন কারী ও প্রতিবাদী তাহার নিজ নিজ প্রতিনিধি হিসাবে মনোনয়ন করে ইউপি চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে গঠিত ৫(পাঁচ)সদস্য বিশিষ্ট গ্রাম আদালত গঠন । মামলার ধার্য তারিখ ২০/১০/১২ ইং তারিখ আপত্তি দাখিলের দিন ধার্য ছিল । প্রতিবাদী নিদ্ধারিত তারিখে আপত্তি দাখিল করেনি।
গ্রাম আদালতের শুনানীর বিবরণঃ
২৪/০১/১৩ তারিখে গ্রাম আদালতের অধিবেশনের দিন ধার্য ছিল ধার্য তারিখে আবেদন কারী ও প্রতিবাদী হাজির । গ্রাম আদালতের বিচারক হাজির বিচারক গন উভয়ের কথা শনেন এবং তাদের জবান বন্দীর সারাংশ আলাদা আলাদা কাগজে লিখে রাখেন প্রতিবাদী নিজের দোষ স্বীকার করায় স্বাÿীর জবান বন্দী নেওয়া হয়নি। আদালতে সাÿ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালতের বিচারক গণ এটা প্রতিয়মান হয় যে, আবেদন কারীর প্রতিবাদীর বিরম্নদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য হওয়ায় আবেদন কারীর পÿÿ ৫:০ সংখ্যা অনুপাতে প্রকাশ্যে রায় ঘোষনা করেন। আদালত দোদফা রায় দেন। আবেদন কারীর পÿÿ মামলাটি ডিক্রি হয় । আদালত ৭ দিনের মধ্যে ১০০০০ দশহাজার টাকা ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেন । অদ্য হতে ৭ দিনের মধ্যে দিতে ব্যার্থ হইলে আবেদন কারী তার ডিক্রি কৃত আইনে বর্নিত পন্থায় অত্র ইউনিয়ন পরিষদে মাধ্যেমে সে আদায় নিতে পারবেন । সিদ্ধামত্ম হওয়ার পর প্রতিবাদী ওহাদ গত ১২/১২/১২ তারিখে চেয়ারম্যান সাহেবের মাধ্যমে সিদ্ধামত্ম কৃত ১০০০০/-দশ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেন। শহানা আক্তার তা বুঝে নেন।
মামলার ফলাফল ও প্রতিকারঃ
অত্র মামলাটির সিদ্ধামত্ম দোরফা সূত্রে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে ঘোষনা করেন। পরবর্তীতে আড়াইবাআড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষভদের চেয়ারম্যান খুর্শিদ উদ্দিন ১১/১২/১২ তারিখ প্রতিবাদী ও আবেদন কারী কে তার ডিক্রি কৃত ১০০০০/-দশহাজার টাকা শাহানা কে বুঝিয়ে দেন । ১০০০০/- দশহাজার টাকা বুঝিয়া পাইয়া শাহানা রেজিস্টারে স্বাÿর করেন।
পÿদ্বয়ের অনুভতিঃ
জানা যায় আবেদন কারী ডিক্রি কৃত ১০০০০/- দশহাজর টাকা দিয়ে শাহানা ব্যবসা করবেন জানান। আবেদন কারী কে ও এ বিষয়ে জিজ্ঞেসা করলে তিনি বলেন এত অল্প সময়ে এবং অল্প খরচে মামলা নিস্পত্তি হয় । তাহা আমার জানা ছিলনা । আমাকে যদি থানায় যেতে হতো আমার টাকা খরচ হয়ে যেত এবং নিস্পত্তি হতে অনেক বিলম্ব হতো। তাই তো শাহানা মনে করে গ্রাম আদালত দরিদ্র অসহায় মানুষের জন্য অত্যামত্ম কল্যান বয়ে আনবে সক্রিয় করনে সচেষ্ট ভূমিকা পালন করবো। প্রতিবাদী কে জিজ্ঞাসা করলে তাহারা তাহাদেও অভিমত ব্যক্ত করেন যে গ্রাম আদালত অত্যমত্ম দ্রম্নত বিচার কার্য সম্পর্ন করে এবং এতে কোন প্রকার খরচ হয়না । তাই আমরা এটা সক্রিয় করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
মামলার ফলাফল আবেদন কারীর পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে কি উপকার পেয়েছেঃ
আবেদন কারী ১০০০০/- দশহাজার টাকা পেয়ে জানায় গ্রাম আদালতের সরনাপন্ন হবার জন্য উপদেশ দিবেন যদি অন্য কোন লোক এমন পরিস্থিতি ও স্বীকার হন তবে গ্রাম আদালতের সুবিচারের কথা জানিয়ে দিবেন। বর্তমানে উভয় পÿ সামাজিক ভাবে মিলেমিশে বসবাস করছেন। তাদের মধ্যে এখন আর কোন ঝগড়া বিবাদ নেই।
পÿদ্বয়ের মতামতঃ
আবেদও কারী ও প্রতিাদী গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিরোধ নিস্পত্তি সুবিধা সম্পর্কে জানান ২ (দুই) টাকায় মামলা নিস্পত্তি আর কোন সংস্থা কতৃক হয় বলে আমার জানা নাই। প্রাতিবাদী জানান গ্রাম আদালতে বিচার পেতে কোন প্রকার টাকা খরচ লাগেনা এবং সময় অপচয় হয়না। গরিব মানুষের জন্য গ্রাম আদালত অত্যামত্ম গুরম্নত্ব পূর্ন বলে উভয় পÿ গ্রাম আদালতের বাসত্মবায়ন সার্বিক সহযোগিতা করবেন জানান। বিরোধ নিস্পতির সহজ উপায় বা সহজ পথ ইউরিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত । হয়রানি হতে হয় না এবং নিজ এলাকাতেই বিরোধ মিমাংশা হয় ।
প্রস্ত্তুত কারীর নামঃ- কাবিরম্নল ইসলাম
কোর্ট সহকারী আড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ
এভিসিবি প্রকল্প ,&এম এল এএ
হোসেনপুর , কিশোরগঞ্জ।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS